বাংলায় ইংরেজ শাসনের সূচনা হয় ১৭৫৭ সালে। পলাশির যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের ফলে মোগল শাসনের অবসান ঘটে। এরপর বাংলার শাসনক্ষমতা ইংরেজদের হাতে চলে যায়। এই ঔপনিবেশিক শাসন চলে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত।
উপনিবেশিকরণ হলো একটি প্রক্রিয়া, যেখানে একটি দেশ অন্য দেশকে অর্থনৈতিক শোষণ এবং লাভের উদ্দেশ্যে নিজের দখলে আনে। দখলকৃত দেশটি দখলকারী দেশের উপনিবেশে পরিণত হয়। বাংলাও প্রায় দুইশ বছর ইংরেজদের অধীনে উপনিবেশ ছিল।
বাংলায় মানব বসতি প্রাচীনকাল থেকেই শুরু হয়। এই অঞ্চল ধনসম্পদে ভরপুর থাকায় বাইরের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এখানে এসে বসতি গড়ে তোলে। বাংলার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই ছিল বহিরাগতদের আকর্ষণের প্রধান কারণ।
শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় দীর্ঘ সময় ধরে কোনো শক্তিশালী শাসক না থাকায় অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এই সময়কে মাৎস্যন্যায় যুগ বলা হয়। এটি সংস্কৃত ভাষায় 'বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে' এমন অরাজকতার সময় নির্দেশ করে। এ সময়ে বাংলা বহু রাজ্য বিভক্ত হয়ে পড়েছিল।
বাংলার স্বাধীন সুলতানি শাসনের সূচনা হয় ১৩৩৮ সালে। সোনারগাঁওয়ের শাসনকর্তা ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ দিল্লির সুলতানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। পরে শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ বাংলার প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেন।
সুলতানি আমলে বাংলার প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেন সুলতান - শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ। তিনি বাংলার বৃহদাংশ অধিকার করে 'শাহ-ই-বাঙ্গালিয়ান' উপাধি গ্রহণ করেন। তার শাসনকালে বাংলার ঐক্য, 'স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয়
সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ বাংলার ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বাংলার শিল্প-সাহিত্য এবং সংস্কৃতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর শাসনকালে বাংলার অর্থনীতি ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধি লাভ করে।